অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যাকেই প্রার্থী করি, সেটা কানা-খোঁড়া যেই হোক তাকে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসলে এদেশকে টিকতে দিবে না। সেইজন্য জনগণের কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একমাত্র নৌকা মার্কাই পারে স্বাধীনতা দিতে, নৌকা মার্কাই পারে উন্নয়ন দিতে। ঢাকাবাসী যেন এ কথা মনে রাখে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে, তফসিল যেকোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী নির্বাচনে যাকেই প্রার্থী করি, সেটা কানা-খোঁড়া যেই হোক তাকে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এদেশের মানুষ যেন আরও উন্নত জীবন পায় সেটাই চাই। আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়া। আমি জনগণের সেবা করতে চাই। জনগণের সেবা-ই করে যাচ্ছি। আমি চাই এ দেশের মানুষ সুখে থাকবে।
উন্নয়নের অনেক পরিকল্পনা আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দারিদ্রের হার আমরা কমিয়েছি, যা খালেদা জিয়ার আমলে ছিল ৪১ শতাংশ। সেটাকে আমরা ১৮.১৭ ভাগে নামিয়েছি। হতদরিদ্র ২৫.১ ভাগ ছিল। সেটাকে আমরা ৫ ভাগে নামিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, যেখান থেকে মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিতে পারে।’
বিএনপির সহিংসতার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আমরা কি দেখলাম, মানুষকে হত্যা করা। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা। এটিই তাদের কাজ।’
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জনসভার মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতারা। সকাল থেকেই জনসভায় যোগ দিতে দলে দলে জড়ো হন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা।
Leave a Reply